ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে চলছে বাংকার খোঁড়াখুঁড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
কাশ্মীরে চলছে বাংকার খোঁড়াখুঁড়ি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) ঘিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (সুনির্দিষ্ট টার্গেটে হামলা) ও পাল্টা আঘাতের খবরের মধ্যে ভারতের কাশ্মীরে চলছে বাংকার (মাটির নিচে গর্ত করে আশ্রয়) খোঁড়াখুঁড়ি। নিজেদের নিরাপত্তায় সেখানকার জনগণ পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ বাংকার খুঁড়ছেন।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ ক’দিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ছাড়তে শুরু করেন বাসিন্দারা। এরপরও যারা থেকে যাচ্ছিলেন, তারা গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান ভূ-খণ্ডের ২ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।

সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই মূলত কাশ্মীরের বান্দিপোরা, পুঞ্চ ও কুপওয়ারা জেলাসহ সংলগ্ন এলাকার লোকজন বাংকার খুঁড়তে শুরু করেছেন। প্রশাসনের তরফ থেকেই তাদের বাংকার খুঁড়ে রাখতে বলা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পাকিস্তানের পাল্টা গুলিতে ১৪ সৈন্য নিহত ও একজনকে বন্দি করার দাবি গণমাধ্যমে ছড়ানোর পর বাংকার খোঁড়ার তোড়জোড় আরও বেড়ে গেছে।

তবে যারা বাংকার খুঁড়ছেন না এবং একেবারে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করছেন, তাদের সরিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহ যেমনটি বলেছেন, “আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বাসিন্দাদের সরানো শুরু করেছি। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়!”

রাজ্যের প্রশাসন আশঙ্কা করছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রতিক্রিয়ায় আগামী ক’দিন পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলি বাড়বে। সেজন্য টংধর, কেরান এবং মচিলের মতো প্রায় ৩০০ গ্রামের বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব গ্রামগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন।

১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনেরই পরামর্শে বাংকার খুঁড়েছিলেন। সেসময় গোলাগুলি হলেই লোকজন ওইসব বাংকারে আশ্রয় নিতেন। কিন্তু ২০০৩ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা ঠাণ্ডা হয়ে আসায় ওই বাংকারগুলো ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই বাংকারগুলোই আবার খুঁজতে হবে, নতুবা খুঁড়তে হবে নতুন করে।

এদিকে, ভারত সীমান্তে যখন এ ধরনের বাংকার খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, তখন পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোও খালি করার খবর আসছে। এমনকি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তান সীমান্ত খালি করে সেখানে সেনা অবস্থান ও অস্ত্রশস্ত্র মজুদ বাড়িয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা ১৮ ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কে উত্তেজনা এখন চরমে। দু’পক্ষই সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও তৎপরতা বাড়িয়েছে। দফায় দফায় যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে পাকিস্তান। আর ভারতও প্রস্তুত করছে তাদের যুদ্ধবিমানকে।

দু’পক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধের মধ্যে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
এইচএ/

আরও পড়ুন
** যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করা হবে: নওয়াজ শরিফ​
** পাকিস্তানের দাবি ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বললো ভারত
** পাকিস্তানের হামলায় ১৪ ভারতীয় সৈন্য নিহত, দাবি পাকিস্তানের
** নওয়াজকে পাত্তা দিলো না পাক সামরিক বাহিনী
** ‘হামলা হয়েছে পাকিস্তানের ২ কি.মি. ভেতরে ঢুকে’
** চূড়ান্ত লড়াইয়ের পদধ্বনি! সীমান্তে গ্রাম খালি করছে ভারত
** পাকিস্তানে কমান্ডো হামলার ভিডিও প্রকাশ করবে ভারত
** ভারতের হামলাকে ‘নগ্ন আগ্রাসন’ বলছে পাকিস্তান
** পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের হামলায় নিহত ৪০, নওয়াজের নিন্দা
** ভারতীয় সীমান্তে গোলাগুলিতে ২ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত​
** ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।