ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করাচি নৌ-ঘাঁটিতে হামলা: ৩ নৌ-কর্মকর্তা বিচারের মুখোমুখি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১
করাচি নৌ-ঘাঁটিতে হামলা: ৩ নৌ-কর্মকর্তা বিচারের মুখোমুখি

ইসলামাবাদ: করাচির নৌ-ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে সামরিক আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা এই খবর নিশ্চিত করেছেন।



পাকিস্তান প্রশাসনে অত্যন্ত ক্ষমতাবান সামরিক বাহিনীর কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে এই প্রথম জবাবদিহীতার মুখোমুখি করা হচ্ছে।

চলতি বছরের মে তে পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচির নৌ-ঘাঁটিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পিএনএস মেহরান ঘাঁটিতে সাহসিকতাপূর্ণ ওই হামলার পর এই প্রশ্ন ওঠে যে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী তাদের ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করার ক্ষমতা আদৌ রাখে কি না। একই ধরনের হামলা ২০০৯ সালে সেনা হেডকোয়ার্টারেও হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটির তদন্তের জন্য আমরা একটি বোর্ড গঠন করেছি। তিন কর্মকর্তাকে দিয়ে সামরিক আদালতে এর বিচারকাজ শুরু করা হবে। ’

সন্দেহভাজন ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে কমোডোর রাজা তাহির রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি ওই ঘাঁটির কমান্ডার ছিলেন। তবে হামলার দুই দিন পর তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অবশ্য নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মকর্তাদের আদালতের মুখোমুখি করার অর্থ এই নয় যে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র রয়েছে।

তারা বলছেন, ‘তাদের আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে কারণ ওই সময় তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়কার নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে তারাই দায়ী। ’

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এর আগেই ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজন সাবেক নৌ-কমান্ডো এবং তার ভাইকে আটক করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সিলের অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই মেহরান ঘাঁটিতে হামলা হয়।

আল কায়েদার প্রধান মিত্র পাকিস্তান তালেবান বিন লাদেন হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

সে দিন প্রায় ৬ জন জঙ্গি মেহরান ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালালে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হন। এই ঘাঁটিটি পাকিস্তান নৌ-বাহিনীর বিমান শাখার প্রধান কার্যালয়। জঙ্গিরা ছয় ঘণ্টা ঘাঁটি অবরোধ করে রাখে। এসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পি-৩সি অরিয়ন বিমান ধ্বংস করে।

পাকিস্তান তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এ হামলার জন্য ঘাঁটির ভেতর থেকে কেউ সহযোগিতা করে থাকতে পারে।

ঠিক একইভাবে ২০০৯ সালের অক্টোবরে জঙ্গিদের একটি ছোট দল রাওয়ালপিন্ডি সেনা হেডকোয়ার্টারে হামলা করলে ৪২ জন নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।