ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউরোপ-এশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১১
ইউরোপ-এশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন

হংকং: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুঁজিবাজারে দরপতনের পর এশিয়ার বাজারেও শুক্রবার ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমের ধনী দেশগুলোতে ধসের খবরে বিশ্ব অর্থনীতি নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ভীতি এখন প্রবল।



মার্কিন অর্থনীতিতে চলমান সংকট এবং ইউরো জোনের ঋণসংকট আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে ইউরোপীয় কমিশন প্রধানের এমন হুঁশিয়ারির পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে গেছে। আর কারণেই বিশ্বপুঁজিবাজারে এক যোগে দরপতন ঘটছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

শুক্রবার টোকিও শেয়ার বাজারের সূচক নেমে যায় ৩.৭২ শতাংশ বা ৩৫৯.৩০ পয়েন্ট এবং দিন শেষে সূচক দাঁড়ায় ৯২৯৯.৮৮ পয়েন্টে। হংকংয়ের শেয়ার বাজারে সূচক কমেছে ৪.২৯ শতাংশ বা ৯৩৮.৬০ পয়েন্ট দিন শেষে যা দাঁড়িয়েছে ২০৯৪৬.১৪ পয়েন্টে।

এদিন সিডনির পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটে ৪ শতাংশ বা ১৭১.১ পয়েন্ট এবং দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪১০৫.৪ পয়েন্টে। একই সময় সিউলের বাজারে সূচক পড়েছে ৩.৭০ শতাংশ বা ৭৪.৭৩ পয়েন্ট দিন শেষে সূচক দাঁড়ায় ১৯৪৩.৭৪ পয়েন্টে।

গত চারদিনে সিডনির বাজারের সূচকপতন ঘটেছে ৮.৭২ শতাংশ যেখানে একই সময় সিউলের বাজারে সূচকের পতন ঘটেছে ১০.৫ শতাংশ।

অপরদিকে তাইপেই (তাইওয়ান) শেয়ারবাজরে সূচকের পতন ঘটেছে সবচে বেশি। এদিন সূচক কমেছে ৫.৫৮ শতাংশ বা ৪৬৪.১৪ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচক দাঁড়ায় ৭৮৫৩.১৩ পয়েন্টে।

সাংহাই ও মুম্বাইয়ে সূচকের পতন ঘটেছে যথাক্রমে ২.১৫ ও ২.১৯ শতাংশ।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতে ৪.৮৬, সিঙ্গাপুরে ৩.৬১, ব্যাংককে ২.৭৩, কুয়ালালামপুরে ১.৪৫ এবং ম্যানিলার পুঁজিবাজারে ১.৪২ শতাংশ সূচক পতন লক্ষ্য করা গেছে।

ইউরোপের পুঁজবাজারেও শুক্রবার লেনদেন অনেক কমেছে। এদিন লন্ডন ও প্যারিসের বাজারে সূচক কমেছে ৩ শতাংশ। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে পড়েছে ৪ শতাংশ, ইতালির মিলানে ৩.৫ শতাংশ এবং স্পেনের মাদ্রিদে সূচক পতন ঘটেছে ২.৪ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার থেকেই অবশ্য লন্ডন, প্যারিস ও ফ্রাঙ্কফুর্টে দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন সূচকের পতন ৩.৪ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করেছে।

কর্মসংস্থানের হতাশাজনক তথ্য প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে উদ্বেগ বেড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন। ২০০৮ সালের পর বিশ্ব আবারও অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাচ্ছে বলে তাদের ধারণা।

অপর দিকে স্পেন ও গ্রিসে ঋণ সংকটও বিনিয়োহকারীদের আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।