মস্কো:চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে আর্কটিক (মূল উচ্চারণ `আর্কতিক`) বা উত্তরমেরু অঞ্চলের বরফ গলেছে রেকর্ড পরিমাণে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাণিজ্যপথ।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নে পরিবেশবাদীরা যার পর নাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে উত্তর মেরুর বরফ গলে যাওয়াতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উন্নয়ন সম্ভাবনার কথা বলছে রাশিয়ার জলবায়ু গবেষণা সংস্থা।
গত বুধবার তারা জানায়, ১৯৩৬ সালের পর থেকে আর্কটিকে গত বছরের গ্রীষ্ম ছিল তৃতীয় উষ্ণতম সময়। এসময় এ অঞ্চলের বরফ গলেছে গড় হিসাবের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি। এতে করে উত্তরাঞ্চলীয় বাণিজ্য জাহাজ রুটে যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে গেছে।
গত বছরের আগস্টের শুরু থেকেই এ এলাকার প্রায় সবকটি রুটে কোনো আইসব্রেকার (বরফকাটা জাহাজ ) ছাড়াই জাহাজ চালানো সম্ভব হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি তাদের www.meteoinfo.ru ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা আরও জানায়, বরফ ঢাকা আর্কটিকের শিপিং রুটে এই নমনীয় অবস্থা আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে এই রুটের দৈর্ঘ্য অবশ্য দক্ষিণাঞ্চলের বিকল্প রুটের চেয়ে ১০ হাজার কিলোমিটার কম।
বরফের মধ্যদিয়ে সৃষ্ট এই নতুন কৌশলগত শিপিং রুটটি সুয়েজের প্রতিদ্বন্দ্বী আর্কটিক প্যাসেজ হিসেবে ব্যবহার করার আশা করছে রাশিয়া। এই পথ ব্যবহারের জন্য কর আদায় এবং সাইবেরিয়ার উপকূলে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর রাস্তা পরিষ্কার করার কাজে তাদের নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার ইজারা দিয়ে অনেক অর্থ আয় করবে রাশিয়া।
উচ্চ ব্যয় সত্ত্বেও এ বছর উত্তর সাগরের রুটে অনেক বেশি সংখ্যক ঘনীভূত গ্যাসবাহী কার্গো পাঠিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব শিপিং কোম্পানি সোভকমফ্লোত। একে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এ অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১১