মোগাদিসু: সোমালিয়ার আল-শাবাব বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী মোগাদিসুর সব ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে। সরকার এবং বিদ্রোহীদের মুখপাত্র উভয়ে শনিবার এ খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট শেখ শরীফ আহমেদ বলেছেন, রাতের অন্ধকারে ট্রাকে করে রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা বলছে, সামরিক কৌশল পরিবর্তন করতেই তাদের চলে যাওয়া।
শুক্রবার রাজধানীতে বন্ধুকযুদ্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বিদ্রোহীরা রাজধানী ছেড়ে চলে যায়। শেখ আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকারি বাহিনী শান্তিরক্ষীদের (আসিসম) সহায়তায় বিদ্রোহীদের তাড়াতে সক্ষম হওয়ায় সোমালিয়ার সরকার তাদের অভিনন্দন জানায়।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এবং মিলিশিয়ারা সোমালিয়ার কেন্দ্র এবং দক্ষিণাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রীত অঞ্চলে কয়েকটি ত্রাণ সহায়তা সংস্থাকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ত্রাণ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
আফ্রিকার ইউনিয়নের শান্তিরক্ষীরা এবং সরকার সমর্থিত বাহিনী চার মাস ধরে মোগাদিসুর কয়েকটি ছোট এলাকায় অবস্থান করছে। কিন্তু সম্প্রতি তারা দুর্ভিক্ষপীড়িতদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা যেমন, খাদ্য, পানি ও ওষুধ পৌঁছনোর পথ নির্বিঘœ করতে বিদোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
এদিকে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত আলী মোহোম্মেদ রাগে নামের একজন বিদ্রোহী স্থানীয় এক রেডিও স্টেশনকে জানান, ‘দক্ষিণ সুদানের অন্য অঞ্চলগুলো থেকে তারা পিছু হটবে না। শত্রুদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর জন্যই আমাদের এই স্থান পরিবর্তন। লোকজন শিগগিরই শুভ সংবাদ শুনতে পাবে। ’
তিনি আরো বলেন, শত্রু যেই হোক আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।
বিবিসির উইল রোজ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে জানান, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে মোগাদিসুতে সম্ভবত শান্তি ফিরে আসছে।
খরা কবলিত সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর কিছু অংশকে জাতিসংঘ দুর্ভিক্ষ পীড়িত বলে ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১১