লন্ডন: উত্তর লন্ডনের টটেনহামের রাস্তায় শনিবার রাতভর বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভের সময় লন্ডন পুলিশের সঙ্গে রাতভর দাঙ্গায় আহত হয়েছেন আটজন পুলিশ সদস্য।
বিক্ষোভ চালাকালীন সময়ে পুলিশদের উদ্দেশে ইট-পাটকেল এবং পেট্রোলবোমা ছোড়া হয়।
আহত আট জন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
বৃহস্পতিবার পুলিশ মার্ক ডুগান নামের ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যার পরপরই এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এই ঘটনার রেশ ধরেই শনিবার রাতভর উত্তর লন্ডনের টটেনহামে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে।
প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী পুলিশ স্টেশনের বাইরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করে। সেসময় তারা ‘বিচার চাই’ বলে সেøাগান দিচ্ছিল।
বিক্ষোভকারীরা ফ্রস্টার রোড এবং হাই রোডের ২০০ মিটার দুরে পুলিশের দুটি টহল গাড়ি দেখতে পেলে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত জনতা টহল গাড়ি দুটোয় আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এসময় গাড়ির মধ্যে কোনো পুলিশ সদস্য ছিল না।
লন্ডনের এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, মোট নয় জন আহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
রাতভর চলা বিক্ষোভের পুরো সময়ই টটেনহাম এলাকার সব দোকান বন্ধ ছিল। কিন্তু বন্ধ দোকানগুলোও লুট করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ট্রলি ভর্তি করে দোকান থেকে জিনিস পত্র নিয়ে আসতেও দেখা যায় অনেককে।
মেট্রোপলিটান পুলিশ কমান্ডার স্টিফেন ওয়াটসন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যথাসম্ভব খুব শীগ্রই পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রনে আনা হবে। ’
টটেনহামের এমপি ডেভিড ল্যামি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করে বলেন, ‘একমাত্র সঠিক বিচারই পারে আসলে কি হয়েছিল তা উদঘাটন করতে। টটেনহাম কমিউনিটি ও মার্ক ডুগানের পরিবার এবং বন্ধুদের বুঝতে হবে যে গত বৃহস্পতিবার আসলে মৃত মার্ক ডুগানের সঙ্গে কি ঘটেছিল। ঘটনা বুঝতে আমাদের অবশ্যই শান্ত থাকতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১১