জেরুজালেম: জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় ইসরায়েলে তৃতীয় দিনের মতো গণবিক্ষোভ চলছে। শনিবার জেরুজালেমে বিক্ষোভ করে প্রায় তিন লাখ মানুষ।
চলমান বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় তেল আবিবে। অন্তত দুই লাখ মানুষ সে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ নেয়। কিন্তু জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেয় তিন লাখ মানুষ।
কয়েক দশকের মধ্যে ইসরায়েলে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা জীবনযাত্রার খরচ কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানায় এ বিক্ষোভ থেকে।
কিছু কিছু বিক্ষোভকারীরা শহরের মাঝখানে তাবু টানিয়ে থাকা শুরু করে দিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড বলেন, ‘তেল আবিব এবং জেরুজালেম ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আরও ২০ হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে বিক্ষোকারীরা বলছে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। অন্যদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা তিন লাখের বেশি। দুটোর একটিও যদি সত্যি হয় তাহলেও এটি ইসরায়েলের কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যম কর্শী রে ডেভিস বলেন, ‘যেসকল বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করছে এদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত। তাদের প্রাপ্ত বেতন কাঠামো তাদের জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে পারছেনা। ’
বিক্ষোভকারীরা মধ্যপ্রাচ্যের গণঅভ্যুত্থান দেখে অনুপ্রাণিত। তারা এখন দেশটির রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং অন্যান্য বিষয়েও সচেতনতা প্রকাশ করছে বলেও তিনি জানান।
২৬ বছর বয়সী ছাত্র ইহুদ রোটেম বলেন, ‘এই দেশে বাস করা খুবই কষ্টকর। ইসরায়েলে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যেতে হচ্ছে আমাদের। এমনকি উচ্চহারে করও দিচ্ছি আমরা। কিন্তু আমরা মাস চলার মতো আয় করতে পারছিনা। ’
৪৫ বছর বয়সী অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এই অবস্থায় বসবাস করা অসম্ভব। আমরা খুব পরিশ্রম করি কিন্তু আমরা ভালো জীবন যাপন করতে পারিনা। আমাদের জীবনযাপনে যথেষ্ট সংগ্রাম করতে হয়। ’
বারুচ ওরেন নামে ৩৩ বছর বয়সী একজন বিক্ষোভকারী এই বিক্ষোভকে ‘একটি বিপ্লব’ বলে আখ্যা দেন। কয়েক দশকে ইসরায়েলের মানুষ এরকম দেখেনি। পরিবর্তনের আশায় সবাই আমরা একত্রে রাস্তায় নেমেছি বলেও বললেন বারুচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১১