ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পূর্ব এবং দক্ষিণ লন্ডনে ছড়িয়ে পড়েছে লুটপাট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১১
পূর্ব এবং দক্ষিণ লন্ডনে ছড়িয়ে পড়েছে লুটপাট

ব্রিক্সটন: লন্ডনের পূর্ব এবং দক্ষিণ অংশে ছড়িয়ে পড়েছে লুটপাট এবং দাঙ্গা। গত শনিবার রাতে টটেনহামে পুলিশের সঙ্গে রাতভর বিক্ষুব্ধ জনতার দাঙ্গার এক পর্যায়ে শুরু হওয়া লুটপাট এখন ছড়িয়ে পড়ছে লন্ডন জুড়ে।



গত বৃহস্পতিবার মার্ক ডুগান নামের এক যুবক টটেনহাম পুলিশের গুলিতে মারা যাবার পর ডুগানের পুরিবার এবং বিক্ষুব্দ জনতা শনিবার টটেনহামের রাস্তায় প্রতিবাদ করতে নেমে পড়ে। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে দাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় নয় পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং বেশকয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এসময়।
 
শনিবার রাতের দাঙ্গার রেশ ধরেই দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটনে বেশিরভাগ দোকানই লুট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিক্সটন অগ্নি নির্বাপক কর্তৃপক্ষ।

তবে ব্রিক্সটন পুলিশ বলছে, স্থানীয় বেশ কিছু ছোট ছোট গুন্ডা বাহিনী এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।
 
বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে অনেককেই দেখা গেছে জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতে। এমনকি টেলিভিশন থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী পর্যন্ত লুট করা হচ্ছে।

ব্রিক্সটনের একজন বাসিন্দা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইফরা রোডে আমরা কয়েকশ মানুষকে লুটের মালামাল নিয়ে চিৎকার করতে করতে চলে যেতে দেখেছি। পুলিশের হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছে না। ’

পূর্ব লন্ডনেরও বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট চলছে। তবে পূর্ব লন্ডনে সবচেয়ে বেশি লুট হচ্ছে মোবাইল এবং খেলার সামগ্রীর দোকান। স্ট্রীটহ্যাম রোডের প্রায় সবগুলো দোকানই লুট হয়ে গেছে বলে দাবি করছে সেখানকার বাসিন্দারা।

সোমবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন লুটেরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু এতে করেও লুটপাট থামানো যাচ্ছেনা বলে জানালেন ট্রুনপাইক লেনের বাসিন্দারা।

ট্রুনপাইক এলাকার একটা দোকানও আস্ত নেই। প্রতিটি দোকানই লুট হয়েছে এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
 
রোববার রাতে পুলিশের সঙ্গে লুটেরাদের সংঘর্ষে আরও তিনজন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটান পুলিশ মুখপাত্র। আহত তিনজনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পুলিশ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ‘টটেনহামের ঘটনার অনুকরণে পূর্ব এবং দক্ষিণ লন্ডনে এই লুটের ঘটনা ঘটছে। ’

পুলিশ কমান্ডার ক্রিস্টিন জোনস বলেন, ‘লুট মোকাবেলা করা আমাদের জন্য বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ লুটেরাতো একজন বা কোনো একটা দল নয়। তারা অনেক। ’

‘আমরা আর এই অশোভন আচরণ সহ্য করবো না। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ি তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে বলেও জানালেন ক্রিস্টিনা। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।