লন্ডন: লন্ডনে চতুর্থ দিনের মতো চলা দাঙ্গা লন্ডনের আশপাশের শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার দাঙ্গা মোকাবেলায় কয়েক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় লন্ডন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রহস্যজনকভাবে লন্ডনে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অবস্থা ক্রমেই সঙ্কটের দিকে যাওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার সফর বাতিল করে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার দাঙ্গা মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে ডেভিড ক্যামেরন সংসদ অধিবেশনের ডাক দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার ক্যামেরন বলেন, ব্রিটেনের রাস্তার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা সবকিছু করবো।
চতুর্থ রাত পর্যন্ত চলা দাঙ্গায় এ পর্যন্ত লন্ডন পুলিশ প্রায় ১২শ দাঙ্গাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
লন্ডনে ১৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বিশাল সংখ্যক পুলিশের উপস্তিতিতে লন্ডনের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে বলেও জানায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পশ্চিমের শহর ম্যানচেস্টারে কয়েক শত তরুন শহরের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের ওপর পাথর থেকে শুরু করে পেট্রোল বোমা পর্যন্ত ছুড়ে মেরেছে। দাঙ্গাকারীরা এসময় বেশকিছু দোকান লুটপাট এবং ভাঙচুর করেন।
ম্যানচেষ্টারের সহকারী পুলিশ কনস্টেবল প্রধান গ্যারি সেওয়ান বলেন, ‘শহরের অনেকগুলো স্থানে অগ্নি সংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। ’
‘আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই যে তাদের প্রতিবাদ করার মতো কোনো কিছু ঘটেনি। এমন কিছুই অবিচার হয়নি যে তারা এভাবে জ্বলে উঠবে বলেও জানান গ্যারি। ’
টটেনহ্যামে মার্ক যুগান নামের এক যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার জের ধরেই শনিবার রাতে প্রতিবাদ করে কয়েকশত প্রতিবাদকারী। এসময় পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিলে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় লুটপাট এবং দাঙ্গার ঘটনা। প্রথম দিকে ঘটনার জন্য স্থানীয় কিছু গুন্ডা বাহিনীকে দায়ি করা হলেও পরবর্তীতে অবস্থা পাল্টে যায়। মাত্র চার দিনেই পুরো লন্ডনে ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা।
অপরদিকে দাঙ্গা থামাতে পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইংলিশ ডিফেন্স লীগ নেতা স্টিফেন লেনন বলেন, ‘আমরা এই দাঙ্গা বন্ধ করতে যাচ্ছি। পুলিশ এটা সমালাতে পারবে না। ’
গত দুইদিনে বার্মিংহ্যামে আড়াইশ এবং লিবারপুলে ২০০ জন দাঙ্গাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১