ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কবে কখন কীভাবে হবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
কবে কখন কীভাবে হবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো বিশ্বজুড়ে আগ্রহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

সবাই তাকিয়ে- কে হতে যাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ভবন হোয়াইট হাউসের পরবর্তী ৪ বছরের ৪৫তম অধিকর্তা!

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন দুইজন। ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে লড়ছেন হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনের আগে তিন পর্বের বিতর্ক থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়েছে এই দুই প্রার্থীকে। এ সময় উঠে এসেছে নানা বিতর্ক। হয়েছে নানা জরিপ। জরিপের ফলাফলে কখনো এগিয়ে ছিলেন হিলারি, আবার কখনোবা ট্রাম্প। তাই বলা যাচ্ছে না, কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  

এক নজরে জেনে নেওয়া যাক কোথায়, কবে এবং কখন হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

চলতি মাসের ৮ নভেম্বর (বাংলাদেশ সময় ৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের প্রায় ১২ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে। শেষ হবে রাত ৮টার মধ্যে। তবে আইওয়া এবং নর্থ ডাকোটাতে ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আশা করা হচ্ছে, নিউইয়র্কে ভোট দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটন। প্রথম ফলাফল ঘোষণা হতে পারে নিউ হ্যাম্পশায়ারে ।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াটি খানিকটা বাংলাদেশ সংসদ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মতো। ভোটাররা ব্যালটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দু’জনকে ভোট দেন। একইসঙ্গে ভোট দেন ইলেক্টোরাল প্রতিনিধিকে। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের ভোট গণনার পর যার ঝুলিতে ভোট বেশি তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।  

তবে এখানেই শেষ নয়য়। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যে ইলেক্টোরাল প্রতিনিধিকে ভোট দেন তাদেরও ভূমিকা থাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। কোনো রাজ্যে বেশি জনগণ, কোনো রাজ্যে কম। তবে প্রতিটি রাজ্যেই থাকেন দু’জন করে সিনেটর। এই দুই সংখ্যার সঙ্গে রাজ্যের জেলাগুলোর সংখ্যা হিসাব করে নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল প্রতিনিধি বা ইলেক্টর। যে প্রার্থীর পার্টি থেকে ইলেক্টর বেশি নির্বাচিত হবেন তিনিই এগিয়ে থাকবেন নির্বাচনে। আর পার্টি থেকে জয়ীয় ইলেক্টরের সংখ্যা যদি নির্ধারিত সংখ্যা ছুঁতে পারে, তবে সেই পার্টির প্রার্থীই হন প্রেসিডেন্ট। ইলেক্টরকে ভোট দেওয়ার অর্থ ওই পার্টির প্রেসিডেন্টকেও ভোট দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া মিলিয়ে ‘ইলেকটোরাল ভোট’র সংখ্যা ৫৩৮টি। আর এই ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে দুই প্রার্থীর যেকোনো একজনকে পেতে হবে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট।  

এই সংখ্যক ভোট কে পাচ্ছেন তা জানা যাবে ৯ নভেম্বর (বাংলাদেশ সময় ১০ নভেম্বর)। তবে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

জয়ী প্রার্থী একই মাসের ২০ তারিখে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন। সেদিন বিকেলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
আরএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।