করাচি: নিরস্ত্র সরফরাজ শাহকে হত্যার দায়ে আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য জাফরকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে কোনো সামরিক ব্যক্তির সাজা দিল বেসামরিক আদালত।
কৌশলগত দিক দিয়ে আধা-সামরিক বাহিনী সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। সে হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক এই ঘটনার দায় বহন করেন। ঘটনা পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, সরফরাজ শাহ অস্ত্র বহন করছিল। কিন্তু ধারণ করা ভিডিও চিত্র এবং তদন্তে দেখা যায় ঘটনার সময় সরফরাজ শাহ সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ছিলেন।
গত জুন মাসের ৮ তারিখ করাচির একটি পার্কে ছিনতাইকারী সন্দেহে সরফরাজ শাহ নামের এক যুবককে পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাঞ্জারের এক সদস্য গুলি করে হত্যা করে।
সন্ত্রাস বিরোধী আদালতের বিচারক বশির আহমদ খুশো সরফরাজের হত্যাকারীকে মৃত্যুদ- দেয় এবং দুই লাখ রুপি জরিমানা করে।
বশির আহমদ খুশো সে সময় অপরাধী জাফরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আপনি সরফরাজ শাহকে গুলি করে হত্যা করেছেন। আমি আপনার মৃত্যুদ- ঘোষণা করছি এবং দুই লাখ রুপি জরিমানা করছি। ’
আদালতের পক্ষ থেকে সরফরাজের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক লাখ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১