দিল্লি: দুর্নীতি ঠেকাতে ভারত সরকারের প্রচলিত ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। পাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে থমকে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাও।
অর্থ সংকটের কারণে দিল্লিতে পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে নেই মানুষের ভিড়। মানুষের কাছে নগদ টাকা না থাকায় তেমন ভিড় নেই গলির অধিকাংশ চায়ের দোকানেও।
স্থানীয় একটি ব্যাংকের ভেতরে কথা হয় হরিনন্দ নামে এক বৃদ্ধের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তাহখানেক আগে একটি জমি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা পান তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকাগুলো ব্যাংক জমা করতে না পারায় নগদ টাকাগুলো নিয়ে বিপাকে আছেন।
সরোজিনী নগরের এক ব্যবসায়ী জানান, সাধারণত তিনি এক সপ্তাহের আয় একবারে ব্যাংকে জমা করেন। কিন্তু পাঁচশ ও এক হাজার রুপির নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে বিপদে আছেন তিনি।
তিনি জানান, তার কাছে নগদ ৪ লাখ রুপি রয়েছে। এগুলো তিনি কোনো কাজে লাগাতে পারছেন না।
এদিকে কাঁচামাল সংকটে ভুগছে দিল্লির খাবারের দোকানগুলো। মানুষের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এবং বিক্রি না হওয়ায় পচনশীল সবজি নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া দেশটির মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে রুপির দাম কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এক ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ৫৩ রুপি। যেখানে আগে ১ ডলারে পাওয়া যেত ৬৭ রুপি।
গ্রাহকদের অর্থ সংকটের কারণে আমাজান কিংবা ফ্লিপ কার্ডের মতো অনলাইন শপিংগুলোকে অনেক ডেলিভারি বাতিল করতে হচ্ছে।
সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থী জানান, গত দু’দিন আগে অনলাইনে ল্যাপটপের অর্ডার দিলেও এটিএম কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না বলে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারছেন না।
এদিকে ভারত সরকার জানিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যে এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে দেশটি।
এর আগে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাঁচশো এবং একহাজার রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
আরএইচএস/এসএইচ