ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফেসবুক, টুইটার বন্ধের প্রস্তাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১
ফেসবুক, টুইটার বন্ধের প্রস্তাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন লন্ডনসহ অন্যান্য শহরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক দাঙ্গার ঘটনায় দুই শত্রুকে খুঁজে পেয়েছেন। ওই দুই শত্রু হচ্ছে ফেসবুক ও টুইটার।

হাউস অব কমনসে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট দুটি ইংল্যান্ডে বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

ক্যামেরন বলেন, ‘তথ্যে অবাধ প্রবাহ কখনো কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে। ’ ক্যামেরনের সরকার এই দুটি সামাজিক ওয়েবসাইট ও ব্ল্যাকবেরি মেসেনজারের নির্মাতা রিসার্চ ইন মোশনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা তাদের ভূমিকা কী তাদের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ক্যামেরন বলেন, ‘যারা ভয়াবহ সহিংসতা দেখেছেন, তাদের প্রত্যেকেই আশ্চর্য হবেন যে, দাঙ্গাকারীরা সামাজিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অত্যন্ত সংগঠিত তৎপরতা চালিয়েছেন। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ভালো কাজের জন্য, তবে এটার খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হতে পারে। আর যখন সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহিংসতা ঘটায়, তখন এটা বন্ধ করা উচিৎ। ’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করা উচিৎ হবে কি না তা দেখতে সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কারণ আমরা জানি, লোকজন এর মাধ্যমে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক তৎপরতা চালানোর পরিকল্পনা করছেন। ’

হাউস কমনসের ছায়া সংস্কৃতিমন্ত্রী ইভান লুইস বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে মুক্ত বাক-স্বাধীনতা, একইভাবে জননিরাপত্তাও। সামাজিক মাধ্যমগুলো বন্ধ করতে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি। ’

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।