ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১০০ ছাড়ালো, ‘নেই’ কোনো বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১০০ ছাড়ালো, ‘নেই’ কোনো বাংলাদেশি ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে যাত্রীবাহী ট্রেন পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও দেড়শ’ মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হতাহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি থাকার খবর মেলেনি।

ঢাকা: ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে যাত্রীবাহী ট্রেন পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও দেড়শ’ মানুষ।

হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হতাহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি থাকার খবর মেলেনি।

রোববার (২০ নভেম্বর) ভোর ৩টার দিকে কানপুর জেলার প‍ুখরায়ন শহরের কাছে ট্রেনটি এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুতগামী এ ট্রেন বিহারের পাটনা থেকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর রুটে চলাচল করে।

কানপুর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) জাকি আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় প্রথম দিকে কয়েক ডজন লোকের প্রাণহানির খবর মিললেও এখন এ সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে।  

নর্দান সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখপাত্র বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে ‍জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই চিকিৎসক ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়া কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের প্রধান সচিব ও পুলিশের মহাপরিচালককে (ডিজিপি) সরাসরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা দেখভালের নির্দেশ দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিকটস্থ সব হাসপাতাল উন্মুক্ত রয়েছে। কানপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

‌উত্তর প্রদেশের মতো বিহারের হাসপাতালগুলোতেও এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে খোলা হয়েছে জরুরি সহযোগিতা ও তথ্যকেন্দ্র। দেওয়া হয়েছে মোবাইল-ফোনের হটলাইন।

ভারতীয় রেলওয়ের সূত্রমতে, ট্রেনটির যেসব বগিচ্যুত হয়েছে সেগুলো হলো সিটিং কাম লাগেজ রেক, জিএস, জিএস, এ১, বি১/২/৩, বিই, এস১/২/৩/৪/৫/৬।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী বিহার ও তাজমহলের রাজ্য উত্তর প্রদেশে বাংলাদেশিদের চলাচল থাকলেও এই ট্রেনে এমন কেউ ছিলেন বলে খবর মেলেনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ইন্দোর-পাটনা রুটে নিয়মিত চলাচলকারী। আছে মধ্যপ্রদেশের যাত্রীও।

এ দুর্ঘটনার পর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নগর উন্নয়নমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু, বিরোধী দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতারা।  

দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দেওয়া হবে দুই লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি। কেন্দ্রীয় রেলওয়েমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে ৩ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার ‍রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারগুলোকে পাঁচ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬/আপডেট ১৪৪৬ ঘণ্টা
এইচএ/

আরও পড়ুন
** ‘বিকট আওয়াজ, শূন্যে ভাসছে কোচ’​
** বাবাকে খুঁজছেন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া রুবি
** কানপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত-আহতের পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা
** উত্তর প্রদেশে ট্রেনের ১৪ বগি লাইনচ্যুত, নিহত ৬৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।