ঢাকা: চার ভাই-বোন ও বাবার সঙ্গে ফিরছিলেন রুবি গুপ্ত। দিন দশেক পর, ১ ডিসেম্বর তার বিয়ে।
কিন্তু রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে ভারতের কানপুরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন রুবির বাবা। বাবাকে হারিয়ে যেন পুরো পৃথিবীই মাথায় ভেঙে পড়েছে রুবি এবং তার চার ভাই-বোনের।
কানপুরের ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৯৭ হন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ শতাধিক যাত্রী। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এতে আহত হয়েছেন রুবির বোন অর্চনা, খুশি এবং ভাই অভিষেক ও বিশাল। দুর্ঘটনায় রুবির বিয়ের গহনা ও পোশাক কোথায় গেছে তারও ঠিক নেই।
কিন্তু সেসব নিয়ে ভাবনা নেই তাদের। তাদের উদ্বেগ এখন শুধুই বাবাকে নিয়ে।
বাবাকে খুঁজে হয়রান ও হতভম্ব রুবি জানান, সর্বত্র তারা বাবাকে খুঁজেছেন, পাননি। অনেকে হাসপাতালে খোঁজ নিতে বলেছে। কিন্তু কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।
তার বিয়ের গহনা ও পোশাক হারালেও সে নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। তাদের ভীতি এখন বাবাকে নিয়ে, জানান রুবি।
রুবি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার বিয়ে হবে কি হবে না জানিনা। কিন্তু আমি এখন বাবাকে চাই।
এরআগে ভোর ৫টার দিকে কানপুর জেলার পুখরায়ন শহরের কাছে পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস নামে ওই ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি বিহারের পাটনা থেকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর রুটে চলাচল করে। এ ঘটনায় সর্বোচ্চ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
অপরদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
এসআর