ঢাকা: বাবা-মাসহ ৪৫ জন আত্মীয় নিয়ে পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েছিলেন দিপীকা ত্রিপাতি। মাঝরাত হওয়ায় সবার মতো আমিও ঘুমিয়ে পড়ি।
দুর্ঘটনা বেঁচে যাওয়া দিপীকা বলেন, আমরা সবাই বিভিন্ন কোচে ছিলাম। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
৬০ বছর বয়সী আরেক যাত্রী বিন্দু কুমার ত্রিপাতি বলেন, আমি বেঁচে গেলেও অন্য কোচে থাকা বন্ধুরা মারাত্মক যখম হয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রেনটির কোচের ভেতরে কেউ আটকে আছেন কিনা অথবা মরদেহ উদ্ধারে বগি কেটে ভেতরে উদ্ধারকারীরা প্রবেশের চেষ্টা করছেন। যদিও সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের পরিবারের জন্য দুই লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার রুপির সাহায্য ঘোষণা করেছেন। এছাড়া উত্তর প্রদেশ সরকার নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ রুপি সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। সাহায্য ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রীও।
দুর্ঘটনার সবশেষ খবর পর্যন্ত শতাধিক নিহত ও অন্তত দুই শতাধিক আহত হওয়া খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
জেডএস