ঢাকা: ভারতে গত ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা এটি। দেশটির উত্তর প্রদেশের কানপুরে যাত্রীবাহী ট্রেন পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) ভোর ৩টার দিকে কানপুর জেলার পুখরায়ন শহরের কাছে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুতগামী এ ট্রেন বিহারের পাটনা থেকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর রুটে চলাচল করে। এতে ৫শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিল।
কানপুরের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ডালজিত সিং জানান, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া দু’টো কোচের নিচ থেকে আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এবং চিকিৎসক মিলে প্রায় ২৫০শ উদ্ধাকারী কাজ করছে।
কানপুরের সহকারী আইজি রাকেশ মাধক জানান, দুর্ঘটনায় প্রথম দিকে কয়েক ডজন লোকের প্রাণহানির খবর মিললেও এখন এ সংখ্যা ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে। একটি কোচে এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রেলওয়ে মন্ত্রী সুরেশ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষী ব্যক্তিকে অবশ্যই কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
এদিকে রেলওয়ে অফিস বলছে, রেলপথে সমস্যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অনেকদিন পরে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় রেলওয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় রেল নেটওয়ার্ক। সেটি প্রতিদিন ২০ লাখ লোক পরিবহন করে।
গত বছরের মার্চে উত্তর প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩৯ জনের প্রাণহানি ও দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছিল।
এদিকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দেওয়া হবে দুই লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি।
কেন্দ্রীয় রেলওয়েমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে ৩ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারগুলোকে পাঁচ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
এসএইচ