তিনি বলেছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের লালন করা জঙ্গিবাদ দমন করতে হবে। এ জন্য চাই কৌশল পুনরায় নির্ধারণ।
দায়িত্বগ্রহণের ছয়দিনের মাথায় তিনি পরিদর্শনে গেলেন জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী সেনাপ্রধান সেখানে অবস্থান করবেন। ঘুরে দেখবেন সার্বিক পরিস্থিতি।
এমন একটি সময়ে তিনি নতুন সেনাপ্রধান হলেন, যখন এই সীমান্তে অস্থিরতা। মূলত কাশ্মীরসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী অভিযানে বিপিন রাওয়াতের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি এসব এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান হিসেবে তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি কঙ্গোতেও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্রিগেড পর্যায়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিপিন রাওয়াত বলেছেন, আমরা জানি, জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ডে কী ধরনের সমস্যায় আমরা পড়ছি। প্রতিহিংসামূলক কোনো কর্মসূচি গ্রহণ না করে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, সবসময় জবাবটা একই রকম নাও হতে পারে। তবে যেকোনো ধরনের সমস্যা ও হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, এমনভাবে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে হবে যেন বোঝা যায় কারা বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
সেনাপ্রধান পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা যদি কৌশলী হয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় তবে এটি পুরো কমিউনিটির জন্য হুমকির হবে।
নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল দলবির সিং সুহাগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। গুর্খা রেজিমেন্টে ক্যারিয়ার শুরু করা বিপিন রাওয়াত ভারতের ২৭তম সেনাপ্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
আইএ