কেলি বলেন, যে দেশগুলো নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সেসব দেশের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এক্ষেত্রে সাত মুসলিম অধ্যুষিত দেশ- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে বলে যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা তাদের ভালোভাবে জানতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর পাসওয়ার্ড চাইতে পারি।
জন কেলি আরও বলেন, এক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করতে না চাইলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার দরকার নেই।
সত্যিই যদি আমেরিকায় কেউ আসতে চায়, তবে আমরা তাদের এ ধরনের তথ্য জিজ্ঞেস করতে পারি, তখন তাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে, অন্যথায় আমেরিকায় আসা সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
কেলি জানান, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভবিষ্যতে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আরও কড়াকড়ি হবে। ভিসা পেতে ভ্রমণকারীদের আরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
গত ২৭ জানুয়ারি সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসী বা ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাহী আদেশে সই করেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দেন দেশটির আদালত। আদলতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে কুল-কিনারা না পেয়ে স্থানীয় সময় গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিবাসী বা ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় অত্যন্ত কড়া নজরে রাখতে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরই দুই দিনের মাথায় ভিসা প্রার্থীদের কাছে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাসওয়ার্ড চাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭/ আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা
এসএনএস/টিআই