ত্রিপোলি: গাদ্দাফি আমাদের সন্মানিত করেছে। গাদ্দাফির জন্য কয়েক হাজার বার মরতেও রাজি আমি।
২০ বছর বয়সী ফারাজ মোহাম্মদ নামের এই সৈন্য বিদ্রোহীদের হাতে আহত হয়ে ত্রিপোলির হাসপাতালে বন্দী অবস্থায় আছেন।
একজন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী ত্রিপোলির বিভিন্ন হাসপাতালের অবস্থা দেখতে গেলে দেখা হয় ফারাজ মোহাম্মদের সঙ্গে। ফারাজ এসময় বলেন, ‘গাদ্দাফি আমাদের সন্মানিত করেছে। গাদ্দাফি আমাদের কাছে দেশপ্রেমের এক প্রতীকের নাম। ’
মুয়াম্মার গাদ্দাফি দৃঢ়তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। গাদ্দাফি ছাড়া লিবিয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকার ও সংকটময়। লিবিয়াতে আবারও লড়াই হবে এবং মিশরে যা ঘটেছে এখানেও তাই ঘটবে বলেও তিনি বলেন।
যদিও এদিকে গাদ্দাফির স্ত্রী ও তিন সন্তান দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ আলজেরিয়াতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিদ্রোহীরা বলছে যে গাদ্দাফির পরিবার পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ফারাজ মোহাম্মদের পায়ে এবং পিঠে ভয়ানক আঘাত লেগেছে। বিমান বাহিনীর মিটিগা হাসপাতালে অন্য পাঁচ বন্দীর সঙ্গে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। লিবিয়ার প্রাদেশিক সরকার তাদেরকে যুদ্ধবন্ধী হিসেবে বিবেচনা করছে। কিন্তু ফারাজ মোহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি গাদ্দাফির হয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
অন্য দুই আহত বলছে যে তারা অভিবাসিত শ্রমিক। তাদের দেশ নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়াতে। তাদেরকে ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে আটক করেছে বিদ্রোহীরা। অন্য আরেক লিবীয় বলেন, আমাকে অহেতুক রাস্তায় গুলি করা হয়েছে। আমি নীরিহ।
লিবিয়ার বর্তমান অবস্থা এবং এনটিসি সম্পর্কে ফারাজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি আল জাজিরা বা আল আরাবিয়া কোনোটাই দেখিনা। আমি জানিনা ঠিক বিদ্রোহীরা কি আসলেই লিবীয় না অন্য কোথাকার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১১