ত্রিপোলি: লিবিয়ার অন্তবর্তী পরিষদের নেতারা গাদ্দাফি অনুগত যোদ্ধাদের শনিবারের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার সময়সীমা বেধে দিয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযানের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
গাদ্দাফি অনুগত যেসব সেনারা বিভিন্ন শহরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি এই সময়সীমা বেধে দেন লিবিয়ার জাতীয় অন্তবর্তী পরিষদের (টিএনসি) নেতা মোস্তাফা আবদুল জলিল।
গাদ্দাফির স্ত্রী, দুইপুত্র এবং এক কন্যা প্রতিবেশি দেশ আলজেরিয়াতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহীদের তরফ থেকে এই সময়সীমা বেধে দেওয়ার ঘোষণা এলো।
মানবিক কারণে আলজেরিয়া তাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
বিদ্রোহীরা এটাকে ‘আগ্রাসন’ বলে জানায়। তবে গাদ্দাফি কোথায় আছে সে সম্পর্কে কোনো কিছু এখনও জানা যায়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে গাদ্দাফি নিজের শহর সারতে-ই অবস্থান করছেন।
গাদ্দাফি অনুগত সেনারা রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বের বানি ওয়ালিদও নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সারতে যাওয়ায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা গাদ্দাফি অনুগতদের কাছ থেকে প্রবল প্রতিরোধের মৃুখে পড়ছে।
বেনগাজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জলিল বলেন, ‘যদি শনিবারের মধ্যে কোনো শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছানো না যায় তবে আমরা আরো কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তা করতে চাইনা। কিন্তু আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি। ’
জলিল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা ন্যাটো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এনটিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিবিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে কোনো বিদেশি সেনার দরকার নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১১