ত্রিপোলি: লিবিয়ার অর্ন্তবর্তী পরিষদের নেতারা দেশটিতে কোন প্রকার বিদেশি সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করেছে। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি ইয়ান মার্টিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইয়ান মার্টিন জানান, জাতিসংঘ সেনা পর্যবেক্ষক নিয়োগের চিন্তা করছে। এর আগে জাতীয় অন্তবর্তী পরিষদের (এনটিসি) চেয়ারম্যান নিরাপত্তা বজায় রাখতে দেশটিতে বাইরের কোন সহায়তার দরকার নেই বলে জানায়।
অর্ন্তবর্তী পরিষদ সমর্থিত সেনারা গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি সিয়ার্তের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পর এই খবর আসল।
এর আগে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফি সমর্থিত সেনাদের শনিবারের মধ্যে আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেধে দেয় এনটিসি। তার্ি রেশ ধরে গাদ্দাফির তৃতীয় পুত্র সাদ গাদ্দাফি এনটিসির কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে বলেও এনটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবীয় প্রতিনিধি দাবাশি বিবিসিকে জানান, লিবিয়ার পরিস্থিতি স্বতন্ত্র। জাতিসংঘ লিবিয়াতে সেনা মোতায়েন করতে চাইলেও সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। এটা কোন গৃহযুদ্ধ নয়। এটা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতও নয়। এটা হচ্ছে একজন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনতার লড়াই।
এদিকে মার্টিন বলেন, তারপরও জাতিসংঘ আশা করছে পুলিশ বাহিনী তৈরির ক্ষেত্রে বিদ্রোহীরা তাদের সহায়তা চাইবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক বৈঠকের পর তিনি জানান, আমরা এখন আর সেনা পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ আশা করছি না। এটা খুবই পরিষ্কার যে, লিবীয়রা জাতিসংঘ বা যে অন্য কোন বিদেশি সেনা নিয়োগকে এড়িয়ে যেতে চায়।
মার্টিন আরও বলেন, লিবিয়াকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা জাতিসংঘের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১