প্যারিস: লিবিয়ার সাধারণ জনগণকে রক্ষায় যতদিন সম্ভব ন্যাটো বাহিনী লিবিয়াতে তাদের অভিযান পরিচালনা করবে। ন্যাটোর ভূমিকা শেষ হয়ে যায়নি লিবিয়া থেকে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিবিয়ার জনগণকে দেশে শান্তি স্থাপনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং লিবিয়াতে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলেও জানান।
সম্মেলন থেকে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অর্ন্তবর্তী পরিষদের (এনটিসি) চেয়ারম্যান মুস্তফা আবদেল জলিল বলেন, ‘আমরা আপনার কথা বুঝেছি এবং আপনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমাদের ব্যাপারে বুঝিয়েছেন। এখন সবকিছুই আপনার হাতে। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ’
ডেভিড ক্যামেরন এবং নিকোলাস সারকোজি এই সম্মেলনের আয়োজক এবং এনটিসিকে নিয়ে লিবিয়ার ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তারা।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে আরব লিগ এবং জাতিসংঘ অংশগ্রহন করে। এছাড়াও বিশ্বের মোট ৬০ টি দেশ যোগ দেয় এই ভবিষ্যৎ নির্ধারণী সম্মেলনে।
লিবিয়াতে সেনা সহায়তা অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামালা দায়ের করা হবে জানিয়ে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, লিবিয়া পুনর্গঠনে খুব শীঘ্রই এনটিসিকে ফান্ড দেওয়া হবে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের উচিত গাদ্দাফি অনুগতদের পুরোপুরি নিরস্ত্র করে ফেলা যাতে তারা দেশের মানুষের এবং বিশ্বের শান্তি বিনষ্ট না করতে পারে। এছাড়াও সিরিয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে সকল দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ করা দরকার। তেল এবং গ্যাসের বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট বাশার অস্ত্র কিনে তার বর্বরতাকে নিশ্চিত করছে।
প্যারিসে এই সম্মেলন এমন দিনেই হলো যেদিন গাদ্দাফি লিবিয়ার শাসন ভার নিয়েছিলেন। গাদ্দাফি শাসন ভার নেওয়ার আগে দেশটির প্রধান ছিলেন বাদশা ইদ্রিস। বিদেশি তেল কোম্পানির কাছে দেশের মুনাফা বিকিয়ে দেওয়ার কারণে লিবিয়ার সাধারণ জনগণের সহায়তার কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশটির ক্ষমতা গ্রহন করেন। ক্ষমতা গ্রহনের পরপরই তিনি দেশের তেল হতে প্রাপ্ত মুনাফা সাধারণ জনগণের মধ্যে বন্টন করে দেন। এটা ছিল গাদ্দাফির জন্য ৪২তম বার্ষিকী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১