বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিবিসি এ খবর জানায়। দেশটির স্থানীয় সময় ১৬ মার্চ প্রথম প্রহর থেকেই ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা ছিলো।
ডিস্ট্রিক্ট জজ ডেরিক ওয়াটসন জানান, যুক্তিতর্ক ও তথ্যাদির ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ।
আদালত এ স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হওয়ারও ঘোষণা দেন।
গত ৬ মার্চ ছয় মুসিলম প্রধান দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় ইরাককে বাদ দিয়ে ছয় মুসলিম প্রধান দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। দেশগুলো হলো- সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।
ট্রাম্পের এই নতুন নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিলো, আগামী ৯০ দিন এই ছয়টি দেশের নাগরিক যাদের বৈধ্য ভিসা নেই, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এর আগে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসী বা ভ্রমণকারী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করেন ট্রাম্প। ওই নিষেধাজ্ঞর আওতাভুক্ত সাতটি দেশ ছিলো- সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান। ওই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে তখনই খোদ মার্কিন মুলুক ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে আদালতেও স্থগিত হয়ে যায় ট্রাম্পের অধ্যাদেশ। আপিল করেও সে অধ্যাদেশ কার্যকর করতে পারেননি ট্রাম্প।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় আদালতের স্থাগিতাদেশ জারি হওয়ায় বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
টিআই