মস্কো: প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ওপর চলমান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার তেল রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত শুক্রবার সিরিয়ার তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং এই নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই কার্যকর হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘কোন ভালো ফল বয়ে আনবে না। ’
সিরিয়ার জাতীয় আয়ের প্রায় ২৫ ভাগই তেল রপ্তানির মাধ্যমে আসে। সিরিয়া তার তেলের ৯৫ ভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশে রপ্তানি করে থাকে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দের কোন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ল্যাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘আমরা একক নিষেধাজ্ঞার বিরোধী। ’ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের একটি সম্মেলন থেকে তিনি জানান, এটা সমঝোতার ভিত্তিতে কোন সমাধান খোঁজার নীতি বিরোধী।
এদিকে জনতা আবারও দেশব্যাপী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে শুক্রবার অন্তত ১৪ জন নিহত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, রাজধানী দামেস্কের শহরতলীতে ৭জন নিহত হয়। তার মধ্যে চারজন কেন্দ্রীয় শহর হোমে এবং তিনজন পূর্বাঞ্চলীয় দেইর-আল জুরে।
জাতিসংঘ জানায়, সিরিয়াতে মধ্য মার্চ থেকে সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার দুইশোরও বেশি লোক নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১১