প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এ কথা বলেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুই নেতা তাদের এ প্রথম বৈঠকে, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসবিরোধী লড়াই, ন্যাটো জোটে সহায়তা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প তার মুক্তবাণিজ্যে বিশ্বাসের কথা তুলে ধরে জানান, দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, যার সমাধানে তিনি নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আসছেন। তিনি আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য বাধা দূরের পক্ষে।
ন্যাটো জোটের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি অটল থাকবে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, এক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ওমাবা প্রশাসনের সময় জার্মান চ্যান্সেলরের মতো তিনিও আড়িপাতার শিকার হয়েছেন।
এই অভিযোগটি তিনি বেশ কয়েকদিন হলো করে আসছেন। যার পাল্টা জবাবও ইতোমধ্যে দিয়েছেন ওবামা। আড়িপাতার বিষয়ে ট্রাম্পের করা অভিযোগ নাকচ করে ওবামা বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। যার কোনো ভিত্তি নেই।
নিজের শাসনামলে বিচার বিভাগের কোনো তদন্ত কাজে প্রেসিডেন্ট বা হোয়াইট হাউস থেকে কখনও কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি বলেও ওবামার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্প-মেরকেলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের বৈঠকে হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা হলেও, অভিবাসন ও পররাষ্ট্র নীতিতে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
কথা হয়েছে, আন্তঃআটলান্টিক সম্পর্কের ভবিষ্যতের ভারসাম্য নিয়ে। ইতোপূর্বে আঙ্গেলা মেরকেল ৬টি মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন। তবে এখন বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবেলার লক্ষ্যে আন্তঃআটলান্টিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য মার্কেল কিছুটা নমনীয় বলে মনে করা হচ্ছে।
তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আরও আগেই হওয়ার কথা ছিল। গত মঙ্গলবার তারা আলোচনায় মিলিত হতেন, তবে সোমবার রাত ও মঙ্গলবারের তুষার ঝড়ের কারণে সফরসূচিতে আসে পরিবর্তন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭/আপডেট ১০৩০ ঘণ্টা
আইএ