ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লস্কর-ই-তৈয়বা পাকিস্তানের ভেতরেই কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১১
লস্কর-ই-তৈয়বা পাকিস্তানের ভেতরেই কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয়

ওয়াশিংটন: পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা পাকিস্তানের ভেতরেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে তার নতুন সদস্যদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এই দাবি করেছে।



সংগঠনটি কিশোর বয়সী সদস্যদের ধর্মীয় মতবাদে দীক্ষা দানসহ জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এফবিআই ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় আদালতে শনিবার  এই অভিযোগ দাখিল করেছে।

অভিবাসন নথি পর্যালোচনা করে এফবিআই জানায়, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জুবায়ের (২৪) পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্ম নেয়। পরে ১৯ বছর বয়স থেকে তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। লস্কর-ই-তৈয়বাকে রসদ সরবরাহ করার অভিযোগে জুবায়ের আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

জুবায়েরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনি যেসব মাধ্যম ব্যবহার করে লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন  তার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এফবিআই জানায়, পাকিস্তানে থাকাকালে তিনি লস্কর-ই-তৈয়বার কাছ থেকে ধর্মীয় দীক্ষাসহ কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।  

আদালতে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, একজন কিশোর হিসেবে ২০০৪ সালে জুবায়ের লস্কর-ই তৈয়বার কাছ থেকে ‘দোরা সুফ্ফা’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে ধর্মীয় চরমপন্থী শিক্ষায় দীক্ষা নিয়েছিলেন।  

এরপর জুবায়ের লস্কর-ই-তৈয়বার মৌলিক প্রশিক্ষণ শিবির ‘দোরা আমা’য় গিয়ে আরও অতিরিক্ত ধর্মীয় পাঠ, শারীরিক কসরত এবং অস্ত্র চালানোর কৌশল শেখেন। জুবায়ের পরবর্তী পর্যায়ে আরও একটি কর্মশালা ‘দোরা খাসা’য় অংশ নিয়ে কমান্ডো হামলার প্রশিক্ষণ নেন।
 
মার্কিন কোন এক নাগরিকের সঙ্গে বাবার সম্পর্কের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর জুবায়েরের পরিবারকে মার্কিন ভিসা দেয়। জুবায়ের ২০০৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাবা-মা ও ছোট দু’ভাইয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।