ওয়াশিংটন: বন্ধকী বিনিয়োগে ক্ষতির শিকার ১৭টি প্রধান ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ব্যাংকগুলোর এই ক্ষতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য করদাতাকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতি গুণতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গৃহায়ণ অর্থায়ন সংস্থা (ফেডারেল হাউজিং ফিন্যান্স এজেন্সি বা এফএইচএফএ) জানিয়েছে, গোল্ডম্যান স্যাকস, বারক্লেস, ব্যাংক অব আমেরিকা, ডাচ ব্যাংক ও এইচএসবিসির মতো বড় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
সংস্থাটির অভিযোগ, ওই ব্যাংকগুলো বন্ধকীর মান সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে গৃহায়ণ খাতে তা বিক্রি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল তখন এই বন্ধকীর দাম পড়ে যায়। এতে বহু লোক ক্ষতির শিকার হয়।
সংস্থাটি বৃহৎ বন্ধকী প্রতিষ্ঠান ফ্যান্নি মি ও ফ্রেডি ম্যাক এর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠান দুটি ৩ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। সরকার পরে এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে।
তবে এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ১৪ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। মার্কিন করদাতাদের দেওয়া এই বিশাল অংকের অর্থ দিয়েও প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের গ্রাহকেদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারেনি।
অন্য যে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে প্রধান হলো- রয়্যাল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড, নমুরা, সিটিগ্রুপ এবং সোসাইটে জেনারালে।
এদিকে সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এফএইচএফএ যখন ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তখন থেকেই মার্কিন ব্যাংকগুলোর শেয়ারে দরপতন শুরু হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এফএইচএফএ অভিযোগ করেছে, পরিস্থতি মোকাবেলা করতে ফার্মগুলো যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
সংস্থাটি বলছে, পর্যবেক্ষণে তারা দেখেছে ওই ঋণগুলো বাজারের প্রচলিত ঋণের চেয়ে আলাদা এবং অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
এদিকে বড় বড় ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে বন্ধকী জালিয়াতির ব্যাপারে ৫০ রাজ্যেরই অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে একটা বন্দোবস্তে যেতে সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। ব্যাংকগুলো পরবর্তী আইনি সুরক্ষা পেতে একটা সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এফএইচএফএ’র এই আইনি পদক্ষেপ ব্যাংকগুলোর এই সমঝোতা উদ্যোগকে জটিল করে তুলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১১