অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান সেই পুলিশ কর্মকর্তা পিসি কেইথ পালমার (৪৮)। তাকে বাঁচাতে না পারলেও সর্বশক্তি দিয়ে তার এই মানবতার বহিঃপ্রকাশ প্রশংসিত হচ্ছে নানা মহলে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোও তাকে বলছে ‘হিরো’।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কনজারভেটিভ পার্টির এই সংসদ সদস্য ঘটনার পরপরই দ্রুত এগিয়ে আসেন। তিনি নিজেই নেমে পড়েন কাজে আর আশপাশ ঘিরে ফেলা পুলিশ সদস্যদের দেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও।
স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে লন্ডনে পার্লামেন্টের সভাস্থল ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের কাছে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে হামলার সূত্রপাত। এটিকে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। যাতে পথচারী ও পুলিশের ওপর গাড়ি ও ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়। সবশেষ হামলাকারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। আহতদের বেশিরভাগই ওই সন্ত্রাসীর গাড়ির চাপায় জখম হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছবিতে দেখা যায়, আহত পুলিশ সদস্যকে তিনি প্রথমে সাহায্য করতে চান এবং তার হাতে এমনকি মুখেও রক্তের দাগ লেগে যায়।
টবিয়াস এলউডের এই বীরত্বের প্রশংসা করেছেন ওয়েস্টমিনস্টারে তার সহকর্মীরাও।
কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য বেন হাউলেট এক টুইট বার্তায় বলেন, এলউড আজ (বুধবার) বিকেলে যেভাবে ওই পুলিশ সদস্যকে ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে যান তাতে নিশ্চিতভাবেই তাকে নায়ক বলা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
এমএন/আইএ