বিবিসির কর্মীদের কাছে কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক ইমেইল বার্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আরেক সংবাদমাধ্যম সিটিএএম। তারা বলছে, ওই বার্তায় এপির কাছ থেকে খবর কেনা বন্ধের কারণ হিসেবে খরচ বেশি হওয়ার কথাই বলা হয়।
সিটিএএমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিঁড়ে বিবিসি এবার সংবাদ বেচাকেনার সম্পর্ক আরও জোরালোভাবে গড়ছে ফরাসি সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘এজেন্সে ফ্রেঞ্চ প্রেসে’র (এএফপি) সঙ্গে। এক্ষেত্রেও অর্থটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ এপির তুলনায় এএফপি থেকে কম খরচে খবর পাচ্ছে বিবিসি।
এপি থেকে খবর নেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বিবিসির কর্মীদের কাছে কর্তৃপক্ষের পাঠানো ওই ইমেইল বার্তায় বলা হয়, ‘সংবাদ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা অনেক বিষয় বোঝাপড়ার ভিত্তিতে চালিয়ে যাই...এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একেবারেই অর্থনৈতিক চাপের কারণে, যার মুখোমুখি আমাদের সামনের সময়গুলোতেও হতে হবে। ’
এএফপি থেকে প্রয়োজনীয় সব খবর নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ইমেইল বার্তায় বলা হয়, অন্য সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।
যোগাযোগ করা হলে বিবিসির এই সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন এপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যম খবর বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে খবর কেনে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সংবাদ বিক্রিকে ওয়্যার সার্ভিস বলা হয়। ওয়্যার সার্ভিসের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত এপি, এএফপি ও রয়টার্স। সাধারণত যেসব সংবাদমাধ্যম সব স্থানে তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারে না, বা রাখতে পারে না, তারাই এই ওয়্যার সার্ভিস নিয়ে থাকে।
সম্প্রতি বিবিসি ও সিএনএনের মতো বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিনিধি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে ওয়্যার সার্ভিসের পেছনে অর্থ খরচ কমিয়ে এনেছে। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত সেই সংবাদ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে, যাদের মুখ্য উদ্দেশ্য পাঠককে জানানোর বদলে খবর বিক্রি করা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এইচএ/