গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে দফায় দফায় এ সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে ব্রিটেনের বেশ কিছু প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রচার করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এয়ারপোর্টে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়ে বলছে, ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে বিস্ফোরক রাখার পদ্ধতি আবিষ্কার করে থাকতে পারে। আশঙ্কা সত্যি হলে তাদের এ ধরনের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার জাল ফাঁকি দিতে পারে।
এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তির ওপরই ক’দিন আগে বেশ কিছু দেশের সফরকারীদের ল্যাপটপ ও বড় ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস উড়োজাহাজে বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন।
ওই নিষেধাজ্ঞা জারির আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জাল ফাঁকি দিতে পারে এমন কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে সন্ত্রাসীরা।
বিমানবন্দরগুলোতে এই সতর্কতার পাশাপাশি ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে বলা হয়, সন্ত্রাসী, বিদেশি গোয়েন্দা ও ‘হ্যাক্টিভিস্টরা’ পরমাণু ইন্ডাস্ট্রির ইন্টারনেট প্রতিরক্ষার দুর্বলতার সর্বোচ্চ সুযোগ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তারা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জাল ফাঁকি দিয়ে পুরো সার্ভার ধসিয়ে দিতে পারে।
সতর্কতার বিষয়ে ব্রিটেনের জ্বালানিমন্ত্রী জেস নরম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরমাণু বিদ্যৎকেন্দ্রগুলোকে অবশ্য সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে সজাগ হবে বলে সরকার আশা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এইচএ/