এই কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে। তিনি সাফ সাফ বলে দিয়েছেন, আসাদ ক্ষমতার বাইরে থাকা ছাড়া সিরিয়া সংঘাতের কোনো রাজনৈতিক সমাধান দেখছেন না তারা।
রোববার (৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন হ্যালে। সম্প্রতি ইদলিবে রাসায়নিক হামলা হয়েছে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বাশার আল-আসাদের বাহিনীর বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
দু’দিন আগেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে হ্যালে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কেবল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়, সংকটের সমাধানে সিরিয়ায় ‘আরও অনেক কিছু’ করবে ওয়াশিংটন। ’
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা নাকচ করে ‘বিকল্প সমাধানের’ ইঙ্গিত দিয়ে হ্যালে বলেন, আসাদ যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান থাকছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক সমাধানের কোনো রকম সুযোগ সামনে নেই। ’
তিনি আসাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনি যদি তার কাজকর্ম দেখেন, যদি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেন..., আসাদ থাকাবস্থায় সেখানে কোনো শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সরকার এখন আর দেখা সম্ভব নয়। ’
আসাদের বাহিনী কোনো ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করে না বলে দামেস্ক দাবি করলেও সেটাকে উড়িয়ে দিয়ে তাদের ‘মোক্ষম জবাব’ দেওয়ার জন্য ইদলিবের ওই বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে হ্যালে ‘প্রয়োজনে এর চেয়েও বেশি কিছু’ করার হুমকি দেন।
সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সে হুঁশিয়ারি ফের দেন হ্যালে। তিনি বলেন, ‘যদি দরকার পড়ে, আমরা আরও অনেক কিছু করবো সেখানে। ... আসলে সেখানে কী হবে (শান্তি না সংঘাত) সেটা নির্ভর করছে সবাই কেমন প্রতিক্রিয়া দেয় বা অবস্থান নেয় তার ওপর। ’
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই রাজনৈতিক সমাধান চায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক সমাধানের দিকেই এগোতে শুরু করেছি এবং ওই অঞ্চলে শান্তি খুঁজে পেতে শুরু করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এইচএ/