তিনি বলেন, সিরিয়ায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহরে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে বাশার আল আসাদকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া।
রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার ব্যাপারে সিরিয়াকে বাধ্য করতে রাশিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো উল্লেখ করে টিলারসন আরও বলেন, রাশিয়ার এই ব্যর্থতাই ওই হামলাকে উৎসাহিত করে।
বিশ্বের উন্নত সাত দেশের ফোরাম ‘জি সেভেন’ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশগ্রহণের প্রাক্কালে এ কথা বলেন টিলারসন।
সোমবার (এপ্রিল ১০) দিনের শেষভাগে ইতালিতে মিলিত হবেন ‘জি সেভেন’ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বাশার আল আসাদের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে বাধ্য করতে রাশিয়ার উপর চাপবৃদ্ধির উপায় খোঁজার ব্যাপারেই এবারের বৈঠকের মূল এজেন্ডা বলে জানা গেছে।
‘জি সেভেন’ বৈঠক শেষে মঙ্গলবার টিলারসন মস্কো যাবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করতে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান মিত্র। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করতে ২০১৩ সালে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে রাশিয়া মধ্যস্থতা করেছিলো।
তবে গত বুধবার সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেখাউনে বাশার আল আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় নিহত হয় ৮৯ জন।
এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ৮৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
তবে এর নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, বাশার আল অাসাদের বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
আরআই