মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এক ঘোষণায় বলেন, ব্রিটেনের নিশ্চয়তা দরকার, সেইসঙ্গে স্থায়িত্ব এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে এখন ব্রিটেন পরিচালনার জন্য এই নেতৃত্ব খুব জরুরি বলেও মত দেন টেরিজা।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের পর জাতি এক হলেও সংসদ দ্বিধাবিভক্ত, এর সমাধান দরকার।
বিষয়টিকে ‘সারপ্রাইজ’ ঘোষণা হিসেবে দেখছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। এ নিয়ে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সংসদে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তবে প্রস্তাব পাশের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন লাগবে।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের এই ঘোষণার আগে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে নাকচ করে দেন। ফলে তার এই ঘোষণা অনেককেই অবাক করলো; কারণ বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত।
গত জুন মাসে (২০১৬ সাল) ব্রেক্সিট অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রশ্নে ব্রিটেনে গণভোটের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যমেরন পদত্যাগ করার পর টেরিজা প্রধানমন্ত্রী হন।
এদিকে, দেশটিতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পর্টির (টোরি) মন্ত্রীরা আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন অনেক আগে থেকেই। ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার ইস্যুটি প্রধানমন্ত্রী টেরিজা যেভাবে সামাল দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে টোরি দলের একজন সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর আগাম নির্বাচনের ধারণাটি জোরদার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭/আপডেট ১৭০০ঘণ্টা
আইএ
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে
যারা থাকছেন টেরিজার কেবিনেটে
টেরিজা মে'কে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ট্রাম্পের