কাবুল: ন্যাটো হামলায় একজন সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ন্যাটো বাহিনী। ভুলবশত ন্যাটোর হামলায় আহমেদ ওমেদ খাপুলওয়াক নামের বিবিসির সাংবাদিক জুলাই মাসে নিহত হয়েছেন বলে জানায় ন্যাটো নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ফোর্স(ইসাফ)।
ইসাফ জানায়, পশতুন ওই সাংবাদিককে যুক্তরাষ্ট্রের সেনবাহিনীর একজন সৈন্য জঙ্গি সন্দেহে উরজুগান প্রদেশের তারিন কুয়াতে গুলি করে।
এ ব্যাপারে বিবিসি বলে, এটা পরিস্কার যে ওই হত্যাকা- ন্যাটোর হতেই হয়েছে। সকল প্রকার সংশয় দুর করে ওই হত্যাকা- সম্পর্কে পরিপূর্ণ তদন্ত দাবি করছি আমরা।
বিবিসির গ্লোবাল নিউজের পরিচালক পিটার হররক্কস বলেন, আহমেদ ওমেদের মৃত্যু সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার জন্য ভয়াবহ অশণিসংকেত। যারা জীবনের বিনিময়ে সংবাদের পেছনে ছোটেন তাদের জন্য আহমেদের মৃত্যু ভীতিকর। সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া অত্যন্ত দরকারী যাতে করে সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর ঠিকভাবে বিশ্বের জনগণের কাছে পৌঁছায়।
তিনি আরও বলেন, আহমেদের পরিবারের পাশে আমরা সর্বক্ষণ আছি। তাদের জন্য যা যা করা দরকার ঠিক তাই করবো আমরা।
ইসাফের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, আহমেদকে আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের এক সৈন্য গুলি করে হত্যা করেছে।
কিন্তু বিবিসর অপর এক সাংবাদিক ডেভিড লেয়ন বলেন, আহমেদকে একটি শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তখন পর্যন্ত তার সঙ্গে সাংবাদিকতার পরিচয় পত্র ছিল।
আহমেদ আগে কাজ করতো পাজওয়াক আফগান বার্তা সংস্থায়। এরপর তিনি ২০০৮ সালে বিবিসিতে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, আফগানিস্থান-পাকিস্তান সীমান্তে প্রতিনিয়তই ন্যাটো বাহিনী তাদের বিমান হামলাসহ স্থল হামলা চালিয়ে আসছে জঙ্গি নামধারী গোষ্ঠির ওপর। কিন্তু ন্যাটোর হামলায় বরাবরই জঙ্গি বাহিনীর তুলনায় নীরিহ মানুষ নিহত হচ্ছে বেশি। এর রেশ ধরেই পাকিস্তান এবং আফগান কর্তৃপক্ষ অনেকদিন ধরেই এই দুই দেশে ন্যাটোর হামলার বিরোধীতা করে আসছিল। কিন্তু সকল বিরোধীতা অগ্রাহ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১১