এই কথার ‘গবেষণাসম্মত সত্য’ রূপ দিলেন স্কটল্যান্ডের ডুন্ডে’র অ্যাবারটে ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। বুধবার (১৯ এপ্রিল) ওই গবেষকদের প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, কথিত সুদর্শন না হলেও স্মার্ট, চিন্তাশীল ও রসিক পুরুষরা সহজেই জিতে নিতে পারে যে কারও মন, বিশেষত নারীর।
গবেষণা দলের মনোবিদ ক্রিস্টোফার ওয়াটকিনস জানান, তারা তাদের সমীক্ষা চালান একদল নারী-পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথমে একটি দলের কাছে কিছু নারী ও পুরুষের ছবি দেখানো হয়। সেসময় তাদের শুধু রূপের ভিত্তিতে নম্বর দিতে বলা হয়। এরপর দ্বিতীয় একদল অংশগ্রহণকারীকে ওই একই পুরুষ ও নারীর ছবি দেখিয়ে এবার তাদের গুণ, বুদ্ধিমত্তা ও কল্পনাপ্রবণতার কথাও জুড়ে দিয়ে সব বিবেচনায় নম্বর দিতে বলা হয়।
মনোবিদ ওয়াটকিনস বলেন, সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে কথিত সুদর্শন না হওয়া সত্ত্বেও সৃজনশীল, গুণী পুরুষেরা ওই রূপবান অথচ তেমন গুণী নন, এমন পুরুষদের সমান নম্বর পেয়েছেন। অর্থাৎ সেই পুরুষদের গুণই আকৃষ্ট করেছে সবাইকে। তবে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন একইসঙ্গে গুণী এবং সুদর্শন পুরুষেরা।
পুরুষদের সৃজনশীলতা নারীদের কাছে কেন এতো গুরুত্ব পায়? এ বিষয়ে ওয়াটকিনস বলেন, নারীরা তাদের সঙ্গীকে পছন্দ করার বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা মাথায় রাখেন সন্তান যেন সুস্থ ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়। সৃজনশীলতা ও গুণকেই তারা বুদ্ধির মাপকাঠি ভাবেন হয়তো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এইচএ/