হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও অপর দু্ই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারী নিজেও।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সেন্ট্রাল প্যারিসের চ্যাম্পস-এলেসিস অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারী আইএস সদস্যটি করিম কার্ফি চ্যাম্পস-এলেসিস অ্যাভিনিউয় স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে তার অডি গাড়িটি পার্ক করে বের হয়েই টহলরত পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন। এতে আশেপাশের লোকজন-পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অপর দুই জন আহত হন। এসময় পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশের পাল্টা গুলিতে মারা পড়ে আইএস সন্ত্রাসীও।
হত্যাকা্ণ্ডের পরে আইএস’র পোপাগান্ডা ওয়েব সাইট আমাকে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি প্রকাশিত হয়।
রোববারের ভোটাভুটির আগে এই হামলাকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। তারা আরও রক্তক্ষয়ের আশঙ্কা করছেন।
২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর প্যারিসে বন্দুকধারী ও আত্মঘাতী বোমারুদের হামলায় কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক মানুষ। ওইদিন প্যারিসের বার, রেস্টুরেন্ট ও স্টেট ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামসহ মোট ছয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়। সেবারও হামলার পর দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গো্ষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
আরআর/এমএমকে