ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কায়রোতে সতর্কতা: ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত তেলআবিবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১
কায়রোতে সতর্কতা: ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত তেলআবিবে

কায়রো: ইসরায়েলি দূতাবাসে শুক্রবারে হামলার পরেও বিক্ষোভকারীরা এখনও রাজপথে অবস্থান করায় দেশব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে মিশর সরকার।  

এর আগে শনিবার মিশরে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত আইজ্যাক লেভানন তার পরিবারের সদস্যরা এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা একটি সামরিক বিমানে করে কায়রো হয়ে ইসরায়েলের রাজধানী  তেলআবিবে পৌঁছান।



মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, সংঘর্ষে অন্তত ৫২০জন আহত হয়েছে।
 
মিশরের প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদেরকে ডেকে পাঠিয়েছেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছে।  

মিশরের রাজধানী কায়রোর ইসরাইয়েলি দূতাবাস ভবন ভেঙে বিক্ষোভকারীরা কনসুলেট ভবনে ঢুকে পড়ার পর রাষ্ট্রদূত পালিয়ে ইসরায়েলে যান।

বিক্ষোভকারীর মূল্যবান নথিপত্রও ছুড়ে ফেলেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমনে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে এবং গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর এবং পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করার পরই পুলিশ বিক্ষাভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।      

এদিকে, ওয়াশিংটনের সাহায্য চাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েলি দূতাবাস রক্ষায় মিশরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি পাঁচ পুলিশ হত্যার ঘটনায় মিশর-ইসরায়েল সম্পর্কের চরম অবনতির কারণেই বিক্ষুব্ধ মিশরীয়রা এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাতের দিকে শত শত বিক্ষোভকারীর দেয়াল ভেঙে দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জেরুজালেমের এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় গুরুত্বপূর্ণ নথি উন্মুুক্ত স্থানে ছিল।

মিশরের সরকারি গণমাধ্যম জানায়, উদ্ধারকৃত কিছু নথি গোপন রাখা হয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট পাঁচ মিশরীয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকেই কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ চলছিল। কারণ পুলিশ হত্যায় ইসরাইলি সেনাদের হাত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
 
ওই একই দিন সকালে লোহিত সাগরের তীরে ইলিয়াট অবকাশ যাপন কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন ৮ ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক।

ওইদিন রাতেই কায়রোতে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন এবং তারা ইসরায়েলি পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন। সেইসঙ্গে তারা ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কারের দাবি জানান।

পুলিশ হত্যাকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করে কায়রো। অন্যদিকে ইসরায়েল হত্যার দায় স্বীকার না করলেও ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মেনে নেয়। সেইসঙ্গে যৌথ তদন্তেরও প্রস্তাব দেয় তারা।

ওই ঘটনার পরপরই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।