উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর এই প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং-সিউল ছাড়িয়ে এখন এই ‘প্রস্তুতি’র খবরই আলোচিত হচ্ছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বিলাসিতার ইস্যুতে ওয়াশিংটনের ‘কৌশলগত ধৈর্য্য’ দেখানোর সময় শেষ হয়েছে। এবার এই বিষয়টির সুরাহা হবে। তার ‘সুরাহা’র হুমকির জবাবেই পিয়ংইয়ং ওই সংবাদমাধ্যমটিতে সম্পাদকীয় লিখে মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলো।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতির খবরে ক’সপ্তাহ আগে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার ও সাবমেরিন পাঠায় মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন। ওই রণতরীতে শতাধিক যুদ্ধবিমান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাদের অবস্থান নেওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ চলছে। এরইমধ্যে ব্যাপক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়াও। এমনকি উত্তেজনার মধ্যেই একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা চালায় তারা।
এমন উত্তেজনা চলতে থাকার মধ্যে পেন্টাগনের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যদি আঞ্চলিক প্রভাবশালী চীন সংকটের সমাধানে এগিয়ে না আসে তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী একলাই সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের এই হুঁশিয়ারিতে রাশিয়া পাল্টা সতর্কতা দিয়ে বলে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র যেন একতরফা কোনো হামলা না চালায় উত্তর কোরিয়ার ওপর।
এই সতর্কবার্তা দেওয়ার মধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে প্রশান্ত মহাসাগরে রাশিয়া ও চীনের ছদ্মবেশী গোয়েন্দা জাহাজ পাঠানোর খবর পাওয়া যায়। সবশেষে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া ইস্যুর সুরাহা করার হুমকি দিলে তার পাল্টা হুমকি দিলো পিয়ংইয়ং।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এইচএ/