লিবিয়া: বিদ্রোহীদের আক্রমণে কোণঠাসা লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি তার অনুসারিদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে নতুন এক অডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিকে, বিদ্রোহী বাহিনী এখন রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বনি ওয়ালিদে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যে চারটি শহর গাদ্দাফি বাহিনীর দখলে রয়েছে বনি ওয়ালিদ তার একটি। বনি ওয়ালিদে গাদ্দাফি বাহিনী জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) সেনাদের দিক থেকে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
মুয়াম্মার গাদ্দাফির সর্বশেষ ওই অডিও বার্তাটি স্থানীয় একটি বেতারে শনিবার রাতে বারবার বাজানো হয়। এই বাতায় তার অনুসারীদের তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘জাহান্নামে যেতে না চাইলে জেগে ওঠো এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাও। ’
এদিকে, লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের প্রধান মুস্তফা আবদুল জলিল প্রথমবারের মতো ত্রিপোলিতে পৌঁছেছেন।
বিমান যোগে জলিল যখন ত্রিপোলিতে পৌঁছান তখন সেখানে উৎফুল্ল জনতার ঢল নামে। জনতা তার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। পরিস্থিতির সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়।
বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জনগণকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এবং ঐক্য বজায় রাখার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আইন নিজের হাতে তুুলে নেবেন না। অনেক অধিকার ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে। অনেক দুর্ঘটনার দায় শোধ করা হয়নি। কিন্তু এখন তার সময় নয়। এখন সময় একত্রিত হওয়ার। ’
এনটিসিরি মুখপাত্র জালাল আল-গালাল রাজধানী ত্রিপোলিতে আবদুল জলিলের এই আগমনকে বর্ণনা করেছেন ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের সবাই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন লিবিয়া গড়ার জন্য কাজ শুরু করবো। ’
জলিল একটি বিমানে করে বেনগাজি থেকে ত্রিপোলি পৌঁছান। শত শত সমর্থক পতাকা নেড়ে আবদুল জলিলকে স্বাগত জানান। এর আগ পর্যন্ত তিনি পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতেই ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১১