দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জৈব রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর জন্য একদল সন্ত্রাসী ইতোমধ্যেই উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে। তাদের মদদ দিচ্ছে সিআইএ ও দক্ষিণ কোরিয়া।
তাদের খুঁজে বের করে নির্দয়ভাবে ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় এই বার্তায়। উত্তর কোরিয়ার সংবাদসংস্থা কেসিএনএ এতে প্রচারিত এই বার্তায় বলা হয় মূলত তেজষ্ক্রিয় এবং ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র (ন্যানো) বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে এ হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরও বলা হয়, সামরিক কুচকাওয়াজ কিংবা শোভাযাত্রার সময় দেশের সর্বোচ্চ নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে। এ ধরনের পদার্থ শরীরে প্রবেশ করার ছয় থেকে ১২ মাস পরে অসুস্থতার লক্ষ্মণ ফুটে উঠতে পারে বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ায় কর্মরত থাকার সময় ‘কিম’ নামের এক উত্তর কোরীয় নাগরিককে ঘুষ দিয়ে হাত করে সিআইএ ও দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত তার কাছ থেকে কিম জং উনের গতিবিধির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে তারা।
সম্প্রতি কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ষষ্ঠবারের মত পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। মোতায়েন করেছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এর মধ্যেই হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
আরআই