প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট নির্মাণের বিশ্ববাজারে এই কোমাক সি ৯১৯ প্লেনের উপর ভর দিয়েই বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে বেইজিং।
শুক্রবার ( মে ৫) হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড়ের সামনে উড্ডয়ন করা প্লেনটির প্রথম ফ্লাইটে আরোহী ছিলেন মাত্র ৫ জন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, প্রথম উড্ডয়নে এটি ৩ হাজার মিটার উচ্চতা দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় এর সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার
এয়ারক্রাফটি ডিজাইনগত দিক থেকে বোয়িং এর ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ ৩২০ এর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী। ন্যারো বডির কোমাক সি৯১৯ প্লেনটির ইঞ্জিন দুটি। এটি ১৬৮ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।
এক উড্ডয়নে এটি সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পথ উড়তে সক্ষম। চীনা সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী কোমাক সি৯১৯ প্লেনটির প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৫ কোটি ডলার, যা একই ডিজাইনের বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ ৩২০ প্লেনের দামের প্রায় অর্ধেক।
ইতোমধ্যেই ২৩ প্রতিষ্ঠানের থেকে এই মডেলের ৫শ’টিরও বেশি প্লেন বিক্রির অর্ডার পেয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোমাক। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই চীনা। সবচেয়ে বেশি অর্ডার দিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।
গত শতকের সত্তরের দশক থেকেই চীন যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সত্তর দেশের শেষার্ধে তারা ওয়াই-১০ নামের একটি যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট নির্মাণে সমর্থ হলেও, অস্বাভাবিক ওজন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে ওই প্রকল্প আর বেশি দূর এগোয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
আরআই