ট্যাংকার ক্রয় প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযোগ ওঠার পর এতে সংশ্লিষ্টতার আঙুল ওঠে কপিলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শনিবার (৬ মে) জরুরি বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবনে।
এরপরই রোববার (৭ মে) বিস্ফোরক হন কপিল। তিনি অভিযোগ করেন, তিনি নিজে দেখেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জয়ের কাছ থেকে নগদ দুই কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছেন কেজরিওয়াল।
কপিলের এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লির ক্ষমতার মসনদ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও কংগ্রেস সমানে তোপ দাগছে কেজরিওয়াল ও তার দল আম আদমি পার্টিকে।
বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগের পুলিশি তদন্ত দাবি করা হয়েছে। আর আম আদমির কাছে দিল্লির গদি হারানো কংগ্রেস চেয়েছে একেবারে সিবিআই তদন্ত।
যদিও বহিষ্কৃত কপিলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ হাস্যকর ও ভিত্তিহীন। কপিল কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই অভিযোগ করেছেন।
তবে কপিল মিশ্র বলেছেন, তিনি প্রয়োজনে সিবিআই বা দুর্নীতি দমন অধিদফতরের সামনেই এ বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার মাধ্যমে দু’বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই টালমাটাল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকার। মাঝেমধ্যেই দলটি ছেড়ে যাওয়া বা দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। আম আদমির নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকারের সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
ওসব ঘটনার পাশাপাশি কপিলের নতুন এই অভিযোগ যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কপালে ঘাম ঝরাচ্ছে তা অনুমানে পিছপা হচ্ছে না বিজেপি-কংগ্রেসসহ বিরোধীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এইচএ/