দুই দেশের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর করাচি ও মুম্বাইয়ে সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার দু’টি ফ্লাইট পরিচালনা করতো পিআইএ। আগামী ৮ মে (সোমবার) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ৮ মে থেকে করাচি-মুম্বাই অথবা মুম্বাই-করাচি রুটে পিআইএ’র ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে আমরা এ রুটে বুকিং নেওয়া বন্ধ রেখেছি।
গত ছয় মাস ধরে আমরা এ রুটে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে শেষ পর্যন্ত রুটটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সরকার যদি বিশেষ কোনো ভর্তুকি দেওয়ার উদ্যোগ না নেয় তবে নিকট ভবিষ্যতে রুটটি চালু হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
ভারত-পাকিস্তান ‘সর্ম্পকে টানাপোড়েনের’ কারণে রুটটি বন্ধ হচ্ছে সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি ভুল আখ্যা দিয়ে পিআইএ’র কর্মকর্তা ডেনিয়েল গিলানি বলেন, কেবল বাণিজ্যিক বিষয় ছাড়া এখানে অন্য কিছু নেই।
করাচি-মুম্বাই রুট বন্ধ হলেও পিআইএ’র লাহোর-দিল্লি রুটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ এ রুটে আশাব্যাঞ্জক যাত্রী রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর বন্ধ হতে যাওয়া রুটটি চালু লাহোর-দিল্লি রুটে যাত্রীদের টানবে।
এয়ারলাইন্সটি ২০০৪ সালে প্রায় দুই বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি মুনাফা করে। তবে নওয়াজ শরীফ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সটি এখন পর্যন্ত একশ’ বিলয়ন ডলারের বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
জেডএস