গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) তা আরও বাড়তে থাকে। শনিবার (৬ এপ্রিল) মুষলধারে বর্ষণের ফলে বন্যার সৃষ্টি হলে কানাডাজুড়ে ৪০০ নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়।
কানাডার সংবাদমাধ্যমগুলো রোববার (৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, পুরো দেশজুড়েই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বিশেষত পূর্ব, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশগুলোর অনেক বাড়িঘর ও সড়ক বন্যায় তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জনভোগান্তির।
বন্যাকবলিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে কুইবেক সিটি, মন্ট্রিয়ল, টরোন্টো, ভ্যাঙ্কুভার, ভিক্টোরিয়াসহ অনেক শহর। রাজধানী অটোয়ার আশপাশের অনেক শহরাঞ্চলও বন্যায় তলিয়ে গেছে। এসব শহরে অনেক বাঙালি জনপদ রয়েছে। অন্টারিও প্রদেশের রাজধানী টরোন্টোতে আগামী ১৪ ও ১৫ মে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন চলছে।
কুইবেকের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বন্যায় সেখানে অন্তত ১৩০টি জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেড় হাজার বসতবাড়ি বন্যায় ডুবে গেছে। সাড়ে আটশ’ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কুইবেকের প্রিমিয়ার (প্রাদেশিক প্রশাসনিক প্রধান) ফিলিপ কুইলার্ড মন্ট্রিয়লের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অটোয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের গাতিনিউ থেকে ৪০০ মানুষকে তাদের বসতবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্টারিওর সংবাদমাধ্যম বলছে, লেক অন্টারিওর পানির স্তর প্রায় দুই যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে। প্রদেশের রাজধানী শহর টরোন্টোর মেয়র জন টরি বলেছেন, শহরের কর্মকর্তারা টরোন্টো দ্বীপের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। আরও বেশি বৃষ্টি হতে থাকলে ওয়ার্ডস আইল্যান্ডের বাড়িঘরগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
এছাড়াও আটলান্টিক কানাডা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও বন্যাকবলিত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছেন। কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারির খবরও মিলছে। জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে অটোয়ার সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এইচএ/