ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুত্র সাদ গাদ্দাফি লিবিয়া ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ নাইজারে পৌঁছেছেন। নাইজারের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাইজারের আইন মন্ত্রী বলেন, সাদি গাদ্দাফি একটি কনভয়ে করে রাজধানী নিয়ামের দিকে এগুচ্ছে।
লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি কোথায় অবস্থান করছেন তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু মুয়াম্মার গাদ্দাফি লিবিয়াতেই থাকবেন এবং মরতে হলে লিবিয়াতেই মারা যাবেন বলে বারংবার ঘোষণা দিয়েছেন।
গাদ্দাফি বিরোধী সৈন্যরা ইতোমধ্যেই লিবিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলের দখল নিয়ে নিয়েছে। বিদ্রোহীদের জন্য সবচেয়ে বড় জয় রাজধানী ত্রিপোলিকে নিজেদের দখলে নিয়ে আসা। বর্তমানে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির অনুগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাকী শহরগুলোও দখলের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে রানি ওয়ালিদ এবং সিরত।
রোববার বিদ্রোহীরা বানি ওয়ালিদে আবারও ব্যাপক হামলা চালায়। এসময় তাদের সহায়তা দিয়েছে ন্যাটো বিমান এবং পশ্চিমা বাহিনী। ন্যাটো বিমান শহরটির প্রানকেন্দ্রে বোমা ফেলছে বলে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে গাদ্দাফির অনুগত কিছু পরিবার পার্শ্ববর্তী দেশ আলজেরিয়াতে পালিয়ে গেছে।
নাইজার সরকারের মুখপাত্র এবং আইনমন্ত্রী মারু আমাদু বলেন, সাদি গাদ্দাফি তার আরও আট সঙ্গীসহ একটি কনভয়ে করে রাজধানীর দিকে এগুচ্ছে। সাদি এবং তার সঙ্গীরা মানবতার খাতিরে নাইজারে আশ্রয় পাবেন।
নাইজার সরকার এনটিসিকে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ হিসেবে মেনে নিলেও, গাদ্দাফি দেশে প্রবেশ করলে কি হবে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
কিন্তু এতোকিছুর পর আবার যুক্তরাষ্ট্র নাইজারকে বলছে যে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করা অপরাধীদের নাইজার যেনো আশ্রয় না দেয় এবং লিবিয়ার বৈধ সরকারের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১