‘সুরক্ষিত ইউরোপে শক্তিশালী’ ফ্রান্স গড়ার পক্ষের ৩৯ বছর বয়সী মাক্রোঁ প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন অঁ মার্শ দল থেকে। তিনি হারিয়ে দেন ‘ফ্রান্সেই মনোযোগ’ দেওয়ার পক্ষের প্রার্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের ৪৮ বছর বয়সী মারিন ল্য পেনকে।
রোববার (১৪ মে) ১৮শ’ শতকের ইলিসে প্যালেসে নয়া প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে অভ্যর্থনা জানাতে জাঁকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পর্বে উদযাপিত হয় রাষ্ট্রীয় নানা কর্মসূচি।
আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে মাক্রোঁর নাম ঘোষণা করেন দেশটির সাংবিধানিক পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লরা ফ্যাবিয়াস। তিনি বলেন, ‘জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছায় আপনি এখন এই প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট’।
এরপর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একান্ত বৈঠক করেন মাক্রোঁ। বৈঠকে নয়া প্রেসিডেন্টের কাছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের গোপন কোডসহ স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ওঁলাদ।
বাম-ডান বিভাজনের মধ্যে সেতুবন্ধন হয়ে ওঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ক্ষমতায় আসা মাক্রোঁর উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- সামাজিক নিরাপত্তা কর বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ও বেকার ভাতায় কাটছাঁট, এমনকি সরকারি খাতে সোয়া লাখের মতো চাকরি ছাঁটাইও। তিনি ইউরোজোনের নিজস্ব পার্লামেন্ট, বাজেট ও অর্থমন্ত্রী রাখার পক্ষেও নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এইচএ/