মাস কয়েক কোনও বৃষ্টি নেই, তাই পানি সরবরাহের কোম্পানিগুলো এই সতর্কতামূলক বার্তা দিচ্ছে।
বাগানে পানি ছেটানোর কল ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হচ্ছে।
লন্ডন আর হোম কাউন্টিগুলোতে ৩৬ লাখ গ্রাহককে সেবা দেয় অ্যাফিনিটি ওয়াটার। এই কোম্পানিটি একটি টাইমার সরবরাহ করছে, যাতে হিসেব কষে পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অধিকাংশ নদীর পানিই এখন স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর গত বছরের জুলাই থেকে এই অঞ্চলে অন্যান্য বছরের তুলনায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে অর্ধেকেরও কম।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেই চলে এই কোম্পানি পানি সরবরাহ। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় ভূ-গর্ভের পানির স্তরও নেমে গেছে অনেক নিচে।
এই খরার মওসুমে পানির খরচ কমাতে কোম্পানিগুলো আরও কিছু পরামর্শ দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে- ডিশওয়াশার কিংবা ওয়াশিং মেশিন বার বার ব্যবহার না করে একবার বেশি করে থালাবাসন ও কাপড় জমিয়ে ব্যবহার করা। যতটুকু পানি প্রয়োজন হবে ঠিক ততটুকু নিয়েই কেতলিতে গরম করা ইত্যাদি।
অ্যাফিনিটির পক্ষ থেকে বাগানের বেডিং প্ল্যান্ট হিসেবে জেরানিমাস, ফ্রেঞ্চ মেরিগোল্ডস ও পেটানিয়াস’র মতো খরায় টিকতে পারে এমন ঘাস লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কম পানি লাগে এমন শাওয়ার হেড, গ্যাজেট ব্যবহার করতে বলেছে, যাতে শিশুরা টয়লেটে কিংবা শাওয়ারে বেশি পানি খরচ না করে ফেলে। কোম্পানিটি বলেছে, নাগরিকরা যদি এই পরামর্শগুলো মানতে পারে তাহলে হোসপাইপ নিষিদ্ধ করার মতো বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
যুক্তরাজ্যে গত মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোগারব্যাংক ও এডিনবার্গে। এখানে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৩.২ মিলিমিটার। আর হ্যাম্পটন ও সাউথ-ওয়েস্ট লন্ডনে বৃষ্টি হয়েছে ৩.৮ মিলিমিটার।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী ক’টি মাস হবে আরও শুকনো আরও খরার সময়।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এমএমকে