শুক্রবার (১৯ মে) দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক ম্যারিয়ানে নি স্টকহোমের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলায় জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
২০১০ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
ম্যারিয়ানের কার্যালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক ম্যারিয়ানে আজ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত আর না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জ শুরু থেকেই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এমনকি মাস ছয়েক আগে নিজের আশ্রয়স্থল ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে সুইডেনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি।
২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে সাত লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দেন অস্ট্রেলিয়ার কম্পিউটার প্রোগ্রামার অ্যাসাঞ্জ। এরপর যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্ত শুরু করলে অ্যাসাঞ্জ সুইডেনে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু হলে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে চলে যান এবং ২০১২ সালে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এ ক’বছর ধরে অ্যাসাঞ্জ সেখানেই রয়েছেন।
সুইডেনের তদন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানার পর উইকিলিকিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন নজর যুক্তরাজ্যের দিকে। যদিও তারা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়ার কোনো পরোয়ানা পেয়েছে কিনা তা বলতে অস্বীকার করছে। ’
বাংলাদেশ সম: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এইচএ/