কোরীয় উপদ্বীপ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের তরফ থেকে আর কোনো ধরনের পরীক্ষা-প্রশিক্ষণ না চালানোর হুঁশিয়ারির পর রোববার (২১ মে) বিকেলে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষার তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার বিকেলে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে পুকচাং থেকে জাপান সাগরমুখে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ৫০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়ে। তবে সেটা জাপানের জলসীমা ছিল না।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে পিয়ংইয়ংকে এ ধরনের আর কোনো পরীক্ষা না চালানোর জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিকে পায়ে ঠেলেই পিয়ংইয়ং রোববার এ ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালালো।
অবশ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র আগের তিন দফায় পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে স্বল্পপাল্লার বলে জানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়েছিল ৭০০ কিলোমিটার। এমনকি সেটা পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম ছিল।
নতুন মডেলের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে আরও একটি রণতরী (রোনাল্ড রিগ্যান) পাঠানো হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন রয়েছে রণতরী কার্ল ভিনসনসহ বিশাল সামরিক বহর।
এদিকে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭/আপডেট ১৬৩২ ঘণ্টা
এইচএ/